কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন পাঁচজন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার নানকরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রইস উদ্দিন।
নিহতেরা হলেন—ফেনী সদরের মোটবী ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামের মামুন (৫০), তাঁর শাশুড়ি মাজেদা বেগম (৭০), ছেলে সাইমান (৫ মাস) ও মাইক্রোবাসের চালক ফেনী সদরের মাস্টার পাড়ার হাসান হাজারির ছেলে আলাউদ্দিন হাজারি (২৭)।
নিহত মামুনের ভাই হানিফ জানান, তাঁর ভাই মামুন বন্যাকবলিত নিজ বাড়ির লোকজনকে দেখতে দুই দিন আগে ফেনীতে যান। মামুন ঢাকার একটি হাসপাতালে চাকরি করেন। আজ সকালে স্ত্রী-সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে মাইক্রোবাসে ফেনী থেকে রওনা হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ বলছে, মহাসড়কের নানকরা এলাকায় সকাল ৬টায় ঢাকামুখী লেনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক দেখতে পেয়ে চালক গতি কমিয়ে দেন মাইক্রোবাসটির। এ সময় পেছনে দ্রুত গতিতে আসা স্টারলাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি মহাসড়ক থেকে নিচে ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসের চালক ও শিশুসহ চারজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা মামুনের স্ত্রীসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।