অতীতের সব গ্লানি মুছে দিয়ে নতুনকে সাদরে বরন করে নিয়ে পুরাতন হিসাব মুছে ফেলে নতুন হিসাবের খাতা খোলার নামই হালখাতা। বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব এদিনটি ব্যবসায়ীদের কাছে আনন্দের দিন। হালখাতা শুধু হিসাবের নতুন খাতা খোলা নয়, পাওনা আদায়ের পাশাপাশি ক্রেতাদের আপ্যায়নের মাধ্যম। হালখাতার এই ঐতিহ্য সুদীর্ঘ কাল বহন করে চলছে বাঙালির আনন্দ উৎসব আর সম্প্রীতির গৌরবগাঁথা সেতু বন্ধন। এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের রেজাউল গাজীর ছেলে আফজাল গাজীর চায়ের দোকানে ক্রেতাদের সার্বিক সহযোগিতায় হালখাতায় আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেজে।
হালখাতা অনুষ্ঠানটি ১৫ জুন ( রবিবার) অনূষ্ঠিত হয়।
এই হালখাতা অনুষ্ঠানে সকালে মাইক বাজা থেকে শুরু হয় রান্নার কাজ কেউ দিছে বিরিয়ানির চাউল কেউ দিছে মুরগির মাংস আবার কেউ দিছে তেল। এমনি ভাবে সবার সহযোগিতা ভালোবসা নিয়েই হালখাতা করছে আফজাল গাজী।
 আফজাল গাজী জানান, আমি গ্রামে ছোট্ট একটা চায়ের দোকান করেছি। এখানে আমার গ্রাম প্রতিবেশিরা সকাল সন্ধা চা খেতে আসে। চা খেয়ে অনেকেই বাকি রাখে আবার অনেকেই নগদ দিয়ে যায়। বছর শেষে সকলে পরামর্শে একটা হালখাতা আনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এতে আমার গ্রাম প্রতিবেশি ক্রেতারা আনন্দ করে কেউ বিরানির চাল, কেউ মুরগীর মাংস আবার কেউ তেল দিয়ে আমার এই আনন্দ অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করছে। আমি গ্রামবাসীর কাছে চির কৃতজ্ঞ।

 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                     
                                 
                                 
                                 
                                