তালা উপজেলার খলিলনগর বাজারে পেরিফেরি ভূক্ত সরকারী খাস জমি দখলের মহা উৎসব শুরু হয়েছে। সহকারী ভূমি কর্মকর্তার নোটিশের পরে কাজ আরও জোরে সোরে কাজ শুরু করেছে অবৈধ দখলদাররা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, খলিলনগর বাজারের প্রাণকেন্দ্রে পেরিফেরি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে খলিলনগর গ্রামের মৃত্য দায়েম মোল্লার ছেলে আব্দুর মাজেদ, মৃত্য জব্বার গাজীর ছেলে জিয়াউর রহমান, নুর আলী গাজীর ছেলে মাহমুদুল গাজী ও মৃত্য ভোলাই গাজীর ছেলে আব্দুল আজিজ গাজী নতুন টিনের চাল দিয়ে ঘর তৈরী করেছেন। এ ঘটনায় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ঘর তৈরী বন্ধের নোটিশ করলে দখলদাররা গায়ের জোরে আইন অমান্য করে আরও জোরে সোরে ঘর তৈরী করছেন।
এলাকাবাসির সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, খলিলনগর বাজারের প্রাণ কেন্দ্রে ২৭৪ নং দাগের ১২ শতক জমি ২০১৭ সালে একাধিক ব্যক্তির নামে একসনা বন্দবস্ত দেয়া হয়। কিন্তু খলিলনগর সহ একাধিক গ্রামের পানি এই জায়গা দিয়ে কপোতাক্ষ নদে পড়ে। সে কারণে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জনস্বার্থে ঘর করতে বাঁধা দেয়। তখন থেকে এই জায়গাটি উন্মুক্ত ছিল। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে একটি কুচক্রীমহল জোর পূর্বক এই জায়গা দখল করে ঘর তৈরী করেছে।
তারা আরও জানান, এই পেরিফেরির একই জায়গা একাধিক ব্যক্তির নামে বন্দোবস্ত দেয়া হলেও কেউ দখল করতে পারেনি। সরকারী পট পরিবর্তনের পরে জোরপূর্বক দখল শুরু হয়ে গেছে। তবে এই জায়গায় যদি দোকানঘর থাকে তাহলে বর্ষা মৌশুমে এই এলাকা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।
অবৈধ দখলদার আব্দুল মাজেদ ও নুর আলী গাজী বলেন, আমরা ২০১৭ সালে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস থেকে ইজারা নিয়ে ছিলাম। তখন দখলে আসতে পারিনি। তবে এর পর থেকে কোনো ইজারা নেয়া হয়নি।
ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সোবাহান বলেন, জয়গা দখলের বিষয়টি জানতে পেরে আমি অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে নোটিশ করেছি। আমার নোটিশ পাওয়ার পরেও তার ঘর তৈরী করে চলেছে। বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যার কে জানিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, জমি সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত ভাবে জানালে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।