পথসভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়ক কামরুজ্জামান বুলু। সঞ্চালনা করেন উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলাম। বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল, চিকিৎসক তাসনীম জারা এবং সামান্তা সারমিন। মঞ্চে স্লোগান তোলেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “৫ আগস্ট আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে বলেছিলাম—আসুন, জাতীয় সরকার গঠন করি, দেশকে পুনর্গঠন করি। কিন্তু তারা সেই প্রস্তাবের কোনো সদুত্তর দেয়নি। শুধু বলেছে, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চাই, তারপর ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন চাই। ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারা ছাড়া দেশের সংস্কার নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই না দেশের ভেতর আর কোনো শত্রু তৈরি হোক। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়তে চাই। এখনও আমাদের দরজা খোলা আছে। তবে সেই দরজা নির্বাচনের ভাগ-বাটোয়ারার জন্য নয়, বরং দেশের পুনর্গঠনের জন্য। এবার যদি সেই দরজা বন্ধ হয়, তাহলে জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।”
সাতক্ষীরার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আপনারা উপকূলের মানুষ। ঘূর্ণিঝড় আর দুর্যোগের মধ্যেও দেশকে পাহারা দিয়েছেন। অথচ এখানকার মানুষ এখনও রেললাইনের সুবিধা পায়নি। ৫৪ বছরেও সাতক্ষীরায় রেললাইন পৌঁছায়নি—এটি লজ্জাজনক।”
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগের যে দুরবস্থা বিরাজ করছে, তা এখনই পরিবর্তনের সময়। জলবায়ু পরিবর্তন, উপকূল সুরক্ষা এবং সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় নাগরিক পার্টি সক্রিয়ভাবে কাজ করবে বলে জানান তিনি।
পথসভা শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জুলাই ২০২৪ সালের আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর শহীদ আসিফ চত্বর থেকে নিউ মার্কেট হয়ে হাটের মোড় পর্যন্ত একটি পদযাত্রা হয়।
পদযাত্রার শেষে, সাতক্ষীরা শহরের আল-বারাকা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় এনসিপির সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।