সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শিরাশুনি গ্রামসহ আশপাশের এলাকার পাঁচ হাজার মানুষ গত কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। যশোরের কেশবপুরের উজান পানি ও অতিবৃষ্টির সম্মিলনে এ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কৃষিজমি—সবই এখন পানির নিচে। বন্ধ হয়ে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, তৈরি হয়েছে বিশুদ্ধ পানির ভয়াবহ সংকট। বাড়ছে পানিবাহিত রোগ এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি।
এই ঘটনা নতুন নয়। গত কয়েক বছর ধরেই একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। অথচ কোনো কার্যকর ও স্থায়ী সমাধান দেখা যাচ্ছে না। এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, সাংবাদিক, এনজিও, প্রশাসন আসেন—কথা বলেন, ছবি তোলেন, তবে বাস্তব পরিবর্তন হয় না। তাদের প্রশ্ন,
> “কত বছর ধরে এভাবে কাটবে আমাদের বর্ষাকাল?”
এ বাস্তবতায় প্রশ্ন ওঠে—এটা কি শুধুই প্রাকৃতিক দুর্যোগ? না কি অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার ব্যর্থতার ফল?
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে গত বছর ‘পরিকল্পনা’ হয়েছিল, এমনটি জানানো হলেও তা বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি নেই।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, নরনিয়া খাল ও ভদ্রা নদী খনন না হলে এই জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব নয়। অপরদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু খালের প্রতিবন্ধকতা অপসারণের কথা বলা হলেও তা শুধু স্বল্পমেয়াদি ত্রাণসদৃশ পদক্ষেপ।