সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম শামীম হোসেন (৪২) কে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার রাতে উথুলি গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৮ মাইল বাজারসংলগ্ন নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত শামীম তালার ইসলামকাটি ইউনিয়নের উথুলি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গফ্ফার শেখের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে শামীমের সঙ্গে দুই ব্যক্তি তার বাড়িতে আসে। পরে তারা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে তৃতীয় তলায় যায়। দীর্ঘসময় শামীম নিজ কক্ষে না ফেরায় স্ত্রী খুঁজতে গিয়ে তৃতীয় তলায় রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ের পেছনে কোপ মেরে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
আটককৃতরা হলেন মনিরামপুর উপজেলার কোন্দলপুর গ্রামের আবুবক্কার দফাদারের ছেলে ইজাজুল ইসলাম (৪৩) ও তালা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের আহম্মদ আলী সরদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম সরদার (৩৮)।
এলাকাবাসী জানান, শামীমের মা চাকরি শেষ করার পর প্রায় ৮–১০ বছর আগে ১৮ মাইলে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন। সেই বাড়িতেই মা, স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছিলেন শামীম।
নিহতের মা রশিদা বেগম জানান, “প্রতিদিনই বহিরাগতরা আসতো বাসায়। শুনেছি তারা মাদক সেবন করত। ঘরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে উল্লাস করত, সেখানে পরিবারের কাউকে ঢুকতে দিত না। ঘটনার রাতে ইজাজুল ও শরিফুল এসেছিল। প্রায়ই তারা আসত। কেন আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তা বলতে পারছি না।” এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি জানান, “স্বামীকে নেশা করতে অনেকবার নিষেধ করেছি। কিন্তু সে উল্টো আমাদের ধমক দিত।
ডুমুরিয়া থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, “নেশাগ্রস্ত অবস্থায় শামীম হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।