সাতক্ষীরার তালায় ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল ফজল মোঃ নুরুল্লাহ’র বিরুদ্ধে চাকুরী দেয়ার নামে ঘুষ গ্রহণ, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ সহ অনিয়ম দূণীতির অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টম্বর) দুপুরে তালা প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তার কাছ থেকে প্রতারিত হওয়া ইংরেজি শিক্ষক মোঃ নাসিরউদ্দীন ও মোস্তাক আহমেদ বলেন, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখে আমাকে ইংরেজি ও মোস্তাক আহমেদ কে সমাজবিজ্ঞান পদে নিয়োগপত্র দেয়া হয়। সে মোতাবেক ঐ তারিখে আমরা অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করি। এসময় বেতন না থাকায় জীবিকার প্রয়োজনে অন্য জায়গায় পার্টটাইম কাজ করি। সরকারী কর্মচারীর তালিকায় অত্র মাদ্রাসার ২৩ ও ২৫ নাম্বারে আমাদের নাম আছে। নিয়োগ দেয়ার পূর্বে অধ্যক্ষ আবুল ফজল মোঃ নুরুল্লাহ আমাদের কাছে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করে। এবিয়য়ে আলোচনা সাপেক্ষে ১৫ লক্ষ টাকা দিতে চাইলে তাতে সম্মতি হয়ে আমাদের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নগদে গ্রহণ করেন। বাকি টাকা বেতন হওয়ার পরে দিতে হবে বলে জানান তিনি। তবে এর কিছুদিন পরে তিনি নিজেই সাময়িক বহিস্কার হন।
এরপর ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পরে তিনি নিয়োগের নামে ঐ ৭ লক্ষ টাকা বাদে আবারও আমাদের কাছে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। আমরা দিতে অস্বীকার করলে গোপনে ঐ দুটি পদ খালি দেখিয়ে অধিদপ্তরে রিপোর্ট প্রদান করেন। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে এনটিআরসি’র মাধ্যমে সেই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখন আমরা টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন রকম তালবাহানা শুরু করেছে।
লিখিত বক্তব্যে তারা আরও বলেন, এই দূর্ণীতিবাজ অধ্যক্ষ একাধিক বিয়ে করেছেন। খর্ণিয়ায় এক নারীর সঙ্গে অপ্রিতিকর অবস্থায় জনতার হাতে ধরা পড়ে। ঘরে স্ত্রী থাকা সত্বেও এক ছাত্রীর অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে জনরোষে বিয়ে করতে বাধ্য হন। তৃতীয় স্ত্রীর ভরণপোষণ না দেয়ার কারণে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন।
এরআগে এই দূণীতিবাজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, অনিয়মের, দূর্ণীতির অভিযোগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান তারা।
এবিষয়ে আবুল ফজল মোঃ নুরুল্লাহ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিক সম্মেলন করে কি হবে? আমি এখন ফোনে কোনো কথা বলব না। আপনার সাথে স্বাক্ষাতে কথা হবে।
##