সোমবার, ২০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তালায় ভোর থেকে লাইনে, তবুও খালি হাতে ফেরা মানুষের

নিউজ ডেস্ক :
অক্টোবর ১৫, ২০২৫ ৭:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাতক্ষীরার তালায় স্বল্পমূল্যের ওএমএসের আটা কিনতে প্রতিদিন শত শত মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। ভোর থেকে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করেও অনেকেই শেষ পর্যন্ত খালি হাতে ফিরছেন বাড়ি। বিশেষ করে বৃদ্ধা, অসুস্থ নারী ও শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে তালা সদরের ওএমএস ডিলার আনোয়ার হোসেন আনুর বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় প্রখর রোদে তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ২৪ টাকা কেজি দরে সরকারি আটা কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কারও কোলে দুধের শিশু, কেউ আবার অসুস্থ শরীর নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। মাত্র ৫ কেজি আটা কেনার জন্য অনেকেই ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত ভ্যানভাড়া দিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন।

জেয়ালতা গ্রামের আব্দুল মজিদ (৬৭) বলেন, ভোর থেকে লাইন ধরি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন আরও লম্বা হয়। অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও আটা পাই না। ছকিনা বেগম জানান, ২০ টাকা ভ্যানভাড়া দিয়ে এসেছি, কিন্তু জানি না আটা পাব কি না। বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। রাজমিস্ত্রি আব্দুস সবুর বলেন, এলাকায় এখন কাজ নেই, বাজারে সবকিছুর দামও বেড়েছে। তাই মানুষ সরকারি আটা কিনতে লাইনে আসে। কিন্তু অনেকেই না পেয়ে হতাশ হয়ে ফেরে।

ডিলারের প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রতিদিন ৫০০ কেজি আটা বরাদ্দ থাকে। কিন্তু চাহিদা এত বেশি যে শত শত মানুষ এসে পড়ে। তাই সপ্তাহে একদিন নারীদের ও একদিন পুরুষদের জন্য আলাদা দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চাহিদা মেটাতে ৫ কেজির পরিবর্তে আড়াই কেজি করে দিচ্ছি, তবুও সবাইকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ওএমএস ডিলার মো. আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, প্রতিদিন মাত্র ৫০০ কেজি আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা তালা সদরের বিপুল চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। অর্ধেক মানুষ খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হন। বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

উপজেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান বলেন, ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়তে হলে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় উপজেলায় চাল ও আটা বরাদ্দ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বাড়াতে হবে। বরাদ্দ কম থাকায় মানুষ কষ্টে আছে। তাই সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

তালা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

দুর্ভোগে থাকা মানুষের একটাই দাবি তালায় ওএমএস আটার বরাদ্দ বাড়ানো হোক, যাতে আর কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও খালি হাতে না ফেরে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।