সাতক্ষীরার তালায় নাছরিন বেগম (৩৮) নামের এক নারীর মরদেহ দাফনের পাঁচ মাস পর আদালতদের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর ) দুপুর রায়পুর গ্রামের কবরস্থান থেকে তাঁর মরদেহ তোলা হয়। নিহত নাছরিন বেগম রায়পুর গ্রামের রফিক শেখের স্ত্রী।
মরদেহ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল আমিন, সাতক্ষীরার সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাসানুর রহমান, তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নিহত পরিবারের লোকজন সেখানে ছিলেন।
নিহতের স্বামী রফিক শেখ জানান, জীবন জীবিকার তাগিদে তিনি ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। স্ত্রী নাসরিন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকে। গত ১০ জুন সকালে জানতে পারলাম আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রীকে গোসল করিয়ে আমার পরিবারের লোকজন কাফন পরিয়ে রেখেছে। আমার স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টা নিয়ে আমি মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামবাসী আমার স্ত্রীকে জানাজা শেষে কবর দিয়ে দেয়। পরে জানতে পারলাম যে দিন আমার স্ত্রী মারা যায় ঐদিন রাতে আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ছিলো মাছিয়াড়া গ্রামের আলমগীর গাজী ও আবুবকর গাজী।
এঘটনায় নিহতের স্বামী রফিক শেখ বাদী হয়ে গত ২৬ জুলাই আলমগীর গাজী, আবুবকর গাজীর নাম উল্লেখ করে তালা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মৃত্যু নাছরিন বেগমের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।