হবিগঞ্জে মানহানির একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল আলীম এ আদেশ দেন। স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান তুহিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
তারেক রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর লন্ডনের একটি পত্রিকায় তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে মানহানির অভিযোগ আনেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান তুহিন। পরে তিনি বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৪ এ মানহানির মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আইনী মোকাবিলা করেন বিএনপির আইনজীবীরা। অবশেষ বৃহস্পতিবার তারেক রহমানকে খালাস প্রদান করেন বিচারক।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম জানান, মামলার তথ্য-উপাত্ত সঠিক ছিল না। যে কারণে আইনী মোকাবিলার মাধ্যমে আজকে রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। আমরা মনে করি শুধুমাত্র তারেক রহমানকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ছাত্রলীগ নেতা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২০১৪ সালে ছাত্রলীগের করা রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির দুটি মামলায় খালাস দিয়েছেন নওগাঁর একটি আদালত। নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এ রায় দেন।
এ ছাড়া গত ২৭ আগস্ট গোপালগঞ্জে মানহানির একটি, ২১ আগস্ট নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি, ১৩ আগস্ট মাদারীপুরে মানহানির একটি এবং ১২ আগস্ট পটুয়াখালীতে মানহানির একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান।