ভেঙ্গে পড়া স্বাস্থ্য খাতকে সংস্কার করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ।
২৭ আগস্ট, মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী একদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ইতোমধ্যে বন্যা দুর্গত এলাকার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছেন। তিনি সেখানকার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য সেবার কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় সভা করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র জনতার চিকিৎসা সম্পর্কে আকমল হোসেন আজাদ বলেন, আহত ছাত্র জনতাকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা এবং ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছি।
২৪ ঘণ্টার ভেতর ১৬ বছরের বঞ্চনা দূর করা সম্ভব না জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, বৈষম্য এবং পদবঞ্চিত হওয়ার অনেক অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে। এ বিষয়ে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একজন যুগ্ম সচিবসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, এ কমিটি বৈষম্য এবং পদ বঞ্চনার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে একটা কাঠামোর ভেতর নিয়ে আসবে, যাতে সংক্ষুদ্ধ সকলে উপযুক্ত প্রতিকার পেতে পারেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে একটি স্মার্ট মন্ত্রণালয়ে রূপান্তর করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ই-গভর্নেন্স এবং ডি-নথির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি, যাতে সম্পূর্ণ পেপারলেস ফাইলিং সিস্টেম চালু করা যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সচিব আরো জানান, স্বাস্থ্য খাতে কোন দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। দুর্নীতির কোন অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিন। দেশের প্রচলিত আইনি ব্যবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।