এক দিনেই ১৭ উইকেট পড়েছে চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে! এই মাঠে কোনো টেস্টে এর আগে এক দিনে এত উইকেট পড়েনি। চিপকে বিরল রেকর্ডের দিনে চেন্নাই টেস্টে চালকের আসনে ভারত।
২২৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮১ রান। সব মিলিয়ে ভারতের লিড হলো ৩০৮ রান। তার আগে প্রথম দিনের ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান থেকে আজ আবারও প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং নেমেছিল ভারত। আজ ৩৭ রান যোগ করে হারিয়েছে বাকি ৪ উইকেট। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩৭৬ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে জসপ্রীত বুমরা-মোহাম্মদ সিরাজদের তোপেরমুখে প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশকে আবারও ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ফলোঅন করার সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের। তবে সেটি না করে নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন রোহিত শর্মারা।
তৃতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার—রোহিত, যশস্বী জয়সওয়াল ও কোহলির উইকেট হারিয়েছে তারা। দুই শতাধিক রানে এগিয়ে থাকা দ্বিতীয় ইনিংসে দাপুটে ব্যাটিং শুরু করে ভারত। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে তৃতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে থার্ড স্লিপে জাকির হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত।
সপ্তম ওভারে নাহিদ রানা বলে উইকেটকিপার লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন জয়সওয়াল। একটু দুর্ভাগ্য কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসের ২০ তম ওভারের প্রথম বলে রুম বানিয়ে স্কয়ার লেগ দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকের বলে দারুণ এক চার মারলেন বিরাট কোহলি। মিরাজ পরের বলটি করলেন কিছুটা গতিময় ফুল লেন্থের। কোহলি দ্রুত চেষ্টা করেও বল ফেরাতে পারেননি, প্যাডে গিয়ে লাগে।
মিরাজ-লিটনদের এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে কোহলিকে আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। কোহলি এগিয়ে এসে অপরপ্রান্তে থাকা শুভমান গিলের কাছে পরামর্শ চাইলেন রিভিউ নেবেন কি না। হাঁটুর নিচের বল মিডল স্টাম্পেই ছিল। গিল অবশ্য রিভিউ নেওয়ার ব্যাপারে সায় দেননি।
সতীর্থের সায় না পেয়ে ১৭ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন কোহলি। এরপরই টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে কোহলির ব্যাটেও লেগেছিল বল। রিভিউ নিলে নিশ্চিত আউট হতেন না এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। দিন শেষে গিল ৩৩ ও ঋষভ পন্ত ১২ রানে অপরাজিত আছেন।
চিপকে এর আগে এক দিনে সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট পড়ার রেকর্ড রয়েছে তিনবার। ২০২১ সালে ইংল্যান্ড-ভারতের দুটি টেস্টে দুবার ১৫ উইকেট পড়েছিল এক দিনে। ১৯৭৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারত ম্যাচের তৃতীয় দিন পড়েছিল ১৫ উইকেট।