হাতে কিংবা ওয়াশিং মেশিনে- যেভাবেই ধোয়া হোক, সঠিক নিয়ম না মানলে কাপড় দ্রুত নষ্ট হবেই।
এমনকি ওয়াশিং মেশিনও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
একেকদিন একেক কাজ
অনেকেই আছেন ধোয়া মোছার কাজগুলো দিন হিসেবে ভাগ করেন। যেমন- সোমবার ছোট কাপড়, মঙ্গলবার বড় কাপড়, বুধবার পর্দা ধোয়া- এরকম আরকি!
লন্ড্রি ব্যবসায় প্রায় চার যুগের অভিজ্ঞাতা নিয়ে এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারি মারর্লো লেভেরেট্টি রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “দিন হিসেবে নয় বরং কাপড়ের ধরন ও রং মিলিয়ে পোশাক ধুতে হয়।”
ভারী কাপড়গুলো একদিন ধুলে পরের দিন পাতলা কাপড়গুলো ধোয়া যেতে পারে। আবার সাদা কাপড়ের সাথে রঙিন কাপড় ধুতে দেওয়া হবে বোকামী।
গরম পানি ব্যবহার
একসময় ফুটন্ত পানিতে কাপড় ধোয়া হত। সেই সময়ে বেশিরভাগ কাপড় থাকতো মোটা সুতির। বর্তমানে বিভিন্ন কৃত্রিম তন্তুর কাপড়ের পোশাক হয়। যেগুলো গরম পানিতে ধুলে নষ্ট হওয়া স্বাভাবিক।
সুতির সাথে মিশ্রিত সিল্ক বা খাঁটি রেয়ন এই ধরনের কাপড়গুলো গরম পানিতে টিকতেই পারবে না বলে মন্তব্য করেন, লেভেরে্ট্টি।
যে কোনো ভারী কাপড় ভালো মতো পরিষ্কারের জন্য ‘হেভি ডিউটি’ লেখা সাবান বা ডিটার্জেন্ট ব্যবহার করলেই হয়।
বেশি সাবান ব্যবহার করা
কাপড়ের ময়লা ওঠাতে বেশি সাবান বা ডিটার্জেন্ট ব্যবহার যুক্তিসঙ্গত মনে হলেও, এতে হিতে বিপরীত হয়।
অতিরিক্ত সাবানের গুঁড়া হয়ত কাপড়ের ভেতরে রয়ে যায়, ভালো মতো পরিষ্কার হয় না। শুকানোর পর সেখান থেকেই বাজে গন্ধ হতে পারে।
এছাড়া সরাসরি কাপড়ের ওপর তরল সাবানও ঢালা উচিৎ না। পানিতে গুলিয়ে কাপড়ে ঢালতে হবে। আর সাধারণ বাসা বাড়িতে ওয়াশিং মেশিংয়ে এক পট বা দুই চা-চামচ পরিমাণ ডিটার্জেন্ট তরল বা গুঁড়া যথেষ্ট।
সুগন্ধ মানেই পরিষ্কার- বিষয়টা ঠিক না
কাপড়ে সাবানের সুগন্ধি লেগে থাকাটা্ টাটকা অনুভূতি দিলেও, পোশাকটি পরিষ্কার নাও হতে পারে।
সুগন্ধি সাবান ঘাম, তেল বা এই ধরনের ময়লার গন্ধ ঢেকে দিলেও, সেসব কাপড় থেকে ভালো মতো নাও উঠতে পারে।
এজন্য গন্ধ-হীন সাবান ব্যবহার করা উচিৎ।
ওয়াশিং মেশিনে একই গতিতে কাপড় ধোয়া
নানান পদ্ধতিতে কাপড় ধোয়ার ব্যবস্থা থাকে ওয়াশিং মেশিনে। অটো, ভারী কাপড়, হালকা কাপড়, ডেলিকেট ইত্যাদি মাধ্যমগুলো সম্পর্কিত কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কাপড় বুঝে এসব পদ্ধতি ব্যবহার করলে সময় যেমন বাঁচে তেমনি খরচও কম হয়।
কাপড়ের লেবেল না পড়া
যে কোনো কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে পোশাকের সাথে লাগানো লেবেল পড়ে নিতে হয়। কারণ একেক ধরনের কাপড় ধোয়ার পদ্ধতি একেক রকম। আর সে অনুযায়ী না ধুলে কাপড় খেপে যাওয়া রং ওঠা-সহ নানান সমস্যা হতে পারে।
পরিষ্কার করা
যে জায়গায় কাপড় ধোয়া হয় সেখানটা ভা্লো মতো পরিষ্কার করতে হবে। মনে হতে পারে কাপড় ধোয়ার পানি সাবানই তো জায়গাটা পরিষ্কার করে রাখছে।
লেভেরেট্টি বলেন, “কাপড়ের ময়লা, চুল, মরা চামড়া, সাবানের ফেনা- ইত্যাদি ড্রেনে মুখে জমে থাকতে পারে। এসব জায়গা ভালো মতো পরিষ্কার রাখতে হয়।”
একই বিষয় ঘটে ওয়াশিং মেশিনে। এজন্য প্রতি এক মাস পর পর ওয়াশিং মেশিন পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হয়।