সাতক্ষীরার তালায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তালা প্রেসক্লাবের সামনে সুনাম (সুরক্ষা নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা) কমিটির আয়োজনে এবং স্বদেশ-এর পরিচালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুনাম-এর সভাপতি সাংবাদিক ইমরান হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জোয়ার্দর ফারুক হোসেন, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, মিজানুর রহমান, সাংবাদিক খলিলুর রহমান লিথু, আফজাল হোসেন, সংগঠনের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক পবিত্র বিশ্বাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী অভি, কোষাধ্যক্ষ জয়দেব সাধু, সদস্য সুমাইয়া ইয়াসমিন স্বপ্না, কাজী মারিয়া নিতু, সাইদুর রহমান আকাশ, রনি, তামিম, সাজিনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বক্তারা প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের উদ্যোগ এবং ব্যবহারিক সচেতনতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁরা বেশি বেশি গাছ লাগানোরও আহ্বান জানান। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অঞ্চলে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে এলাকাটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। তাই এই এলাকার মানুষের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারকে সুদৃষ্টি দিতে হবে। উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এই অঞ্চলকে বসবাসের উপযোগী করার জন্য দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে একটি আলাদা বোর্ড গঠনের দাবি জানান। তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জোয়ার্দার ফারুক হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই অঞ্চলকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। সংগঠনের সদস্য সুমাইয়া ইয়াসমিন স্বপ্না পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। বক্তারা আরও বলেন, প্রতিদিন প্রায় আট হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য সাগরে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। এই প্লাস্টিক কৃষিজমি, খাল-বিল, নদী হয়ে জলাশয় থেকে সাগরে গিয়ে মেশে। পরবর্তীতে তা মাইক্রোপ্লাস্টিকে রূপান্তরিত হয়ে সাগরের পানিতে মিশে যাচ্ছে। প্লাস্টিক আমাদের জীবনযাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় হলেও এর উৎপাদন ও ব্যবহারের মাত্রা আমাদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। তাঁরা আরও বলেন, বিশ্বে উৎপাদিত প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ ৪৩০ মিলিয়ন টন, যার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ বর্জ্য সাগরে মেশে। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে মানব শরীরে প্রবেশ করে মারাত্মক ক্ষতি করছে। এটি অপচনশীল হওয়ায় মাটি ও প্রকৃতিরও ক্ষতি করছে। এই বিষয়ে বক্তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।